বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
মোঃ জুয়েল খান খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।
একজন মহিলা হয়েও তিনি পুরো এলাকার মধ্যে একটি আতঙ্ক বিস্তার করে রেখেছেন, চেক স্ট্যাম্প দিয়ে টাকা নিবে টাকা পরিশোধ হয়ে গেলেও তুমি মামলা খাবে এ যেন নিজের রাজ্যে নিজেই রাজা কি এই মহিলার ক্ষমতার উৎস সেটা এলাকার অনেকেরই জানা নাই।
সুদ খোর, রিমা পারভীন পিতা মৃত শেখ আব্দুল মজিদ মাতা জাবেদা বেগম সাং লবণ চরা, শিপিরহাট খুলনা স্বামী আরাফাত হোসেন বাবু, বিভিন্ন কায়দায় এই রিমা পারভীন মানুষকে সুদের টাকা দিয়ে থাকেন যে সকল মানুষ বিপদে পড়ে রিমা পারভীন থেকে সুদের টাকা গ্রহণ করেন তাদের থেকে রিমা পারভীন ব্ল্যাংক চেক ও ইস্টাম নিয়ে ঢাকা দিয়ে থাকেন এক লাখ টাকা ক্ষুদে লাগালে দুই লাখ টাকা স্ট্যাম্প পেপারে লিখে সিগনেচার করিয়ে রাখেন এমনকি টাকা পরিশোধ হয়ে যাওয়ার পরেও এই রিমা পারভীন চেক আর ইস্টাম গ্রাহককে ফেরত না দিয়ে তাদেরকে ব্ল্যাকমেল করে থাকেন বিভিন্ন কায়দায়। এই রিমা পারভীনের টাকার উৎস জানতে চাইলে এলাকার লোকজন জানায় রিমা পারভীন এই এলাকার পুত্রবধূ তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে বিভিন্ন এনজিওর সাথে কথা বলে জানা যায় রিমা পারভীন এক থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন তুলেন এবং তিনি এই সকল টাকা দিয়ে ব্যবসা করেন বলে সমিতি বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জানিয়েছেন। আসলে এই রিমা পারভিন একজন বড় ধরনের সুদ ব্যবসায়ী সুদ খেতে খেতে রিমা পারভীন এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন, অর্ধ শতাধিক মানুষকে তিনি এভাবেই ফাঁসিয়েছেন লবণ চূড়া এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায় রিমা পারভীন আসলেই একজন বড় ধরনের সুদ ব্যবসায়ী তিনি মানুষকে ডেলি কিস্তি ও দিয়ে থাকেন সে সকল কিস্তির টাকা পরিশোধ করলেও গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দা কৌশল খাটিয়ে নিয়ে থাকেন বাড়তি টাকা বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে এই রিমা পারভীন একসময়ে এই এলাকার গৃহবধূ হলেও বর্তমানে তিনি এলাকায় সুদ খোরদের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে সুদের টাকা পরিশোধ করার পরেও যে কার ইসলাম দিয়ে বিভিন্ন লোকের নামে অযথা মামলাও করেছেন তিনি খবর নিয়ে জানা যায় এ সকল মামলা মিথ্যা এবং সম্পূর্ণ বানোয়াট টাকা পরিশোধ করেছেন ছয় মাস আগে পুনরায় টাকা না নিতে যাওয়ায় বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ও ক্ষান্ত হননি পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন অনেকের নামে যার একাধিক প্রমাণ রয়েছে এবং বেআইনিভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এভাবেই সুদ বাণিজ্য করে যাচ্ছেন এই রিমা পারভীন শত শত মানুষের কাছে সুদের টাকা লাগিয়ে এভাবেই বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন গোপনে। শতশত ভুক্তভোগী তার ভয়ে মুখ খুলতেও চান না এক ভুক্তভোগী নিলুফা আক্তার আমাদেরকে জানান আমার মত শত শত পরিবারকে এই রিমা পারভীন ধ্বংস করে দিয়েছেন যারা দেনার ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন তাদের অনেকের নামেও এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন অন্য আরেক ভুক্তভোগী জানান টাকা পরিশোধ করে দিলেও তার টাকা কোনদিনও পরিশোধ হয় না আমি তার থেকে বিপদে পড়ে সুদে টাকা নিয়েছি ঠিকই দেড় লাখ টাকা আমাকে দিয়ে তিনি আমার কাছ থেকে একশ টাকার স্ট্যাম্পে তিন লক্ষ টাকা লিখে নিয়েছেন এছাড়াও নিয়েছেন ব্ল্যাংক চেক এ সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় মোটা অংকের টাকা খশিয়ে নেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেন আমার মত এরকম হাজারো লোক পাবেন যারা হয়তো তার ভয়ে মুখ খুলবে না কারণ এই এলাকায় আতঙ্কের আরেক নাম রিমা পারভীন।